বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

রানীশংকৈলে এক প্রভাষকের ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরী

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি॥ ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা নীতিমালা ভঙ্গ করে আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার অভিযোগ উঠেছে।

২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১১.১০ (ক) গেজেটে উল্লেখ্য রয়েছে বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক কর্মচারিগন একই সাথে একাধিক পদে চাকুরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোন পদে থাকতে পারবেন না। অথচ এ নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে এ প্রভাষক দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে কর্মরত রয়েছেন। মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের প্রভাষক অহিদা পারভীন হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে শিক্ষা অফিস সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বাড়ীও হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী নামক এলাকায়।

জানা যায়, তিনি মাঝে মাঝে প্রাথমিক বিদ্যালয় ফাকি দিয়ে কলেজে এসে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেন। তবে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী বেতন উত্তোলন করলেও প্রভাষকের পদটির এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় এখান থেকে কোন বেতন পান না বলে কলেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে তবে অতি শ্রীঘই এমপিও ভুক্ত হবে বলে জানা যায়। এদিকে তিনি সম্প্রতি কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পরে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। বিষয়টি দুই উপজেলা জুড়ে জানাজানি হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্বে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

একই ব্যক্তি দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অহিদা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, অনেক টাকা পয়সা দিয়ে আমি ২০১৫ সালে এ কলেজে চাকুরী নিয়েছি এর পর ২০১৬ সালে আমার প্রাইমারিতে চাকুরী হয়েছে। দেখেন আমি এ বিষয়টি নিয়ে অনেক মানসিকভাবে চিন্তিত রয়েছি।

এব্যাপারে হরিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজার রহমান বলেন বিষয়টি আমার নলেজে আছে যে কোন একটি চাকুরী করতে তাকে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ তফিল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। যেহেতু কলেজটি একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান সে মোতাবেক আমার কিছু করার নেই।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাজান সিদ্দিক বলেন এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com